volume_up
volume_up
volume_up
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আরবী ও বাংলা ভাষায় উচ্চমানের জ্ঞানের অধিকারী মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিম। বাংলা ভাষায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত পবিত্র কোরআনের অনুবাদগুলোর মধ্যে অর্থের সূক্ষ্মতার দিক থেকে এটিই সেরা।
ফেরদৌস আজম খানআলহামদু লিল্লাহ, মহান রাববুল আলামিন আল্লাহ পাককে জানাই অজুত শোকরিয়া, যিনি মানব সমাজের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ ও মুক্তির উদ্দেশ্যে কিতাব ও রসূল পাঠিয়েছেন। যিনি তাঁর এ বিনত বান্দাকে তাঁর অনুপম মুজিযা মহাকল্যাণময় বাণী আল কুরআনের সহজ বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করার তৌফিক দান করেছেন।
সালাত ও সালাম মুহাম্মদ রসূলুল্লাহর প্রতি, যিনি প্রাণান্তকর সাধনা ও চেষ্টা-সংগ্রামের মাধ্যমে মানব সমাজের সামনে আল কুরআন পেশ করেছেন, এ কিতাব তাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, এর মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন এবং আল্লাহ পাকের সাহায্যে তাঁর এই বাণী ও বিধানকে প্রবর্তিত ও প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।
আমরা স্বয়ং আল কুরআন পাঠ করে জানতে পেরেছি, আল্লাহ পাক মানুষের প্রতি তাঁর এই মহাকল্যাণময় কিতাব নাযিল করেছেন এটি পড়ার ও বুঝার জন্যে, জানার ও মানার জন্যে, অনুধাবন ও অনুসরণ করার জন্যে এবং এর ভিত্তিতে মানব সমাজকে আলোকিত ও বিকশিত করার জন্যে।
এই চেতনাই আমার মধ্যে বাংলাভাষীদের কাছে তাদের যবানে আল কুরআনের মর্মবার্তা পেশ করার অদম্য আকাংখা জাগ্রত করে। তাই লেখনীর মাধ্যমে ও মৌখিকভাবে কুরআনের মর্মবাণী প্রচারের সাথে সাথে বাংলা ভাষায় আল কুরআনের অনুবাদ এবং সংক্ষিপ্ত তফসির করারও সংকল্প করি। প্রথমেই আল কুরআনের একটি সহজ বাংলা অনুবাদ উপস্থাপনের এরাদা করি এবং আল্লাহ আমাকে সময়েরও ব্যবস্থা করে দেন।
অন্যান্য চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে এক মনে এক ধ্যানে কুরআন মজিদের অনুবাদ করার সুযোগ পেয়ে যাই। প্রতিটি সূরার আয়াত ভিত্তিক আলোচ্যসূচিও তৈরি করে ফেলি। কুরআন মজিদের একটি সংক্ষিপ্ত বিষয় নির্দেশিকাও তৈরি করি এবং তৈরি করি বাংলায় প্রচলিত কুরআনের একটি পরিভাষা কোষ। এগুলো সবই কুরআনের এই অনুবাদ গ্রন্থে সংযুক্ত হয়েছে। আশা করি কুরআন মজিদ বুঝার ক্ষেত্রে এগুলো সাহায্যকারী হবে।
কুরআন মজিদের বেশ কিছু অনুবাদ বাংলা ভাষায় রয়েছে। তবে আমরা আশা করি আমাদের এই অনুবাদটি বাংলা ভাষায় কুরআনের অনুবাদের ক্ষেত্রে একটি নতুন ধরনের সংযোজন। এই অনুবাদটির কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো :
1. এই অনুবাদটি করা হয়েছে যারা কুরআন বুঝতে চান বিশেষভাবে তাদের জন্যে, তাদের প্রয়োজনকে সামনে রেখে।আল্লাহ পাক তাঁর কালামে পাকের এই অনুবাদটি কবুল করুন এবং এর মাধ্যমে সমাজকে তাঁর কিতাবের আলোতে উদ্ভাসিত করুন। এর উসিলায় এই অনুবাদকের ভুলত্রুটি ও গুনাহ্ খাতা মাফ করে দিন এবং এটিকে তার আখিরাতের মুক্তির উপায় বানিয়ে দিন। আমিন।
আবদুস শহীদ নাসিম
জুন ৩, ২০১২ ঈসায়ী
| ক্রমিক | সূরা | নাযিল | আয়াত | রুকু |
| ০১ | আল ফাতিহা | মক্কায় | ০৭ | ০১ |
| ০২ | আল বাকারা | মদিনায় | ২৮৬ | ৪০ |
| ০৩ | আলে ইমরান | মদিনায় | ২০০ | ২০ |
| ০৪ | আন নিসা | মদিনায় | ১৭৬ | ২৪ |
| ০৫ | আল মায়েদা | মদিনায় | ১২০ | ১৬ |
| ০৬ | আল আনআম | মক্কায় | ১৬৫ | ২০ |
| ০৭ | আল আরাফ | মক্কায় | ২০৬ | ২৪ |
| ০৮ | আল আনফাল | মদিনায় | ৭৫ | ১০ |
| ০৯ | আত তাওবা | মদিনায় | ১২৯ | ১৬ |
| ১০ | ইউনুস | মক্কায় | ১০৯ | ১১ |
| ১১ | হূদ | মক্কায় | ১২৩ | ১০ |
| ১২ | ইউসুফ | মক্কায় | ১১১ | ১২ |
| ১৩ | আর্ রাদ | মক্কায় | ৪৩ | ০৬ |
| ১৪ | ইবরাহিম | মক্কায় | ৫২ | ০৭ |
| ১৫ | আল হিজর | মক্কায় | ৯৯ | ০৬ |
| ১৬ | আন্ নাহল | মক্কায় | ১২৮ | ১৬ |
| ১৭ | বনি ইসরাঈল / ইসরা | মক্কায় | ১১১ | ১২ |
| ১৮ | আল কাহফ | মক্কায় | ১১০ | ১২ |
| ১৯ | মরিয়ম | মক্কায় | ৯৮ | ০৬ |
| ২০ | তোয়াহা | মক্কায় | ১৩৫ | ০৮ |
| ২১ | আল আম্বিয়া | মক্কায় | ১১২ | ০৭ |
| ২২ | আল হজ্জ | মদিনায় | ৭৮ | ১০ |
| ২৩ | আল মুমিনুন | মক্কায় | ১১৮ | ০৬ |
| ২৪ | আন্ নূর | মদিনায় | ৬৪ | ০৯ |
| ২৫ | আল ফুরকান | মক্কায় | ৭৭ | ০৬ |
| ২৬ | আশ্ শোয়ারা | মক্কায় | ২২৭ | ১১ |
| ২৭ | আন্ নামল | মক্কায় | ৯৩ | ০৭ |
| ২৮ | আল কাসাস | মক্কায় | ৮৮ | ০৯ |
| ২৯ | আল আনকাবুত | মক্কায় | ৬৯ | ০৭ |
| ৩০ | আর্ রূম | মক্কায় | ৬০ | ০৬ |
| ৩১ | লুকমান | মক্কায় | ৩৪ | ০৪ |
| ৩২ | আস্ সাজদা | মক্কায় | ৩০ | ০৩ |
| ৩৩ | আল আহযাব | মদিনায় | ৭৩ | ০৯ |
| ৩৪ | আস্ সাবা | মক্কায় | ৫৪ | ০৬ |
| ৩৫ | আল ফাতির | মক্কায় | ৪৫ | ০৫ |
| ৩৬ | ইয়াসিন | মক্কায় | ৮৩ | ০৫ |
| ৩৭ | আস্ সাফ্ফাত | মক্কায় | ১৮২ | ০৫ |
| ৩৮ | সোয়াদ | মক্কায় | ৮৮ | ০৫ |
| ৩৯ | আয্ যুমার | মক্কায় | ৭৫ | ০৮ |
| ৪০ | আল মুমিন/ গাফির | মক্কায় | ৮৫ | ০৯ |
| ৪১ | ফুসসিলাত/হামিম আস সাজদা | মক্কায় | ৫৪ | ০৬ |
| ৪২ | আশ্ শূরা | মক্কায় | ৫৩ | ০৫ |
| ৪৩ | আয্ যুখরুফ | মক্কায় | ৮৯ | ০৭ |
| ৪৪ | আদ্ দুখান | মক্কায় | ৫৯ | ০৩ |
| ৪৫ | আল জাসিয়া | মক্কায় | ৩৭ | ০৪ |
| ৪৬ | আল আহকাফ | মক্কায় | ৩৫ | ০৪ |
| ৪৭ | মুহাম্মদ | মদিনায় | ৩৮ | ০৪ |
| ৪৮ | আল ফাত্হ | মদিনায় | ২৯ | ০৪ |
| ৪৯ | আল হুজুরাত | মদিনায় | ১৮ | ০২ |
| ৫০ | কাফ | মক্কায় | ৪৫ | ০৩ |
| ৫১ | আয্ যারিয়াত | মক্কায় | ৬০ | ০৩ |
| ৫২ | আত্ তূর | মক্কায় | ৪৯ | ০২ |
| ৫৩ | আন্ নাজম | মক্কায় | ৬২ | ০৩ |
| ৫৪ | আল কামার | মক্কায় | ৫৫ | ০৩ |
| ৫৫ | আর রহমান | মদিনায় | ৭৮ | ০৩ |
| ৫৬ | আল ওয়াকিয়া | মক্কায় | ৯৬ | ০৩ |
| ৫৭ | আল হাদিদ | মদিনায় | ২৯ | ০৪ |
| ৫৮ | আল মুজাদালা | মদিনায় | ২২ | ০৩ |
| ৫৯ | আল হাশর | মদিনায় | ২৪ | ০৩ |
| ৬০ | আল মুমতাহানা | মদিনায় | ১৩ | ০২ |
| ৬১ | আস্ সফ | মদিনায় | ১৪ | ০২ |
| ৬২ | আল জুমুয়া | মদিনায় | ১১ | ০২ |
| ৬৩ | আল মুনাফিকুন | মদিনায় | ১১ | ০২ |
| ৬৪ | আত্ তাগাবুন | মদিনায় | ১৮ | ০২ |
| ৬৫ | আত্ তালাক | মদিনায় | ১২ | ০২ |
| ৬৬ | আত্ তাহরিম | মদিনায় | ১২ | ০২ |
| ৬৭ | আল মুলক | মক্কায় | ৩০ | ০২ |
| ৬৮ | আল কলম | মক্কায় | ৫২ | ০২ |
| ৬৯ | আল হাককাহ | মক্কায় | ৫২ | ০২ |
| ৭০ | আল মাআরিজ | মক্কায় | ৪৪ | ০২ |
| ৭১ | নূহ | মক্কায় | ২৮ | ০২ |
| ৭২ | আল জিন | মক্কায় | ২৮ | ০২ |
| ৭৩ | আল মুযযাম্মিল | মক্কায় | ২০ | ০২ |
| ৭৪ | আল মুদ্দাসসির | মক্কায় | ৫৬ | ০২ |
| ৭৫ | আল কিয়ামা | মক্কায় | ৪০ | ০২ |
| ৭৬ | আদ্ দাহর / আল ইনসান | মদিনায় | ৩১ | ০২ |
| ৭৭ | আল মুরসালাত | মক্কায় | ৫০ | ০২ |
| ৭৮ | আন্ নাবা | মক্কায় | ৪০ | ০২ |
| ৭৯ | আন্ নাযিয়াত | মক্কায় | ৪৬ | ০২ |
| ৮০ | আবাসা | মক্কায় | ৪২ | ০১ |
| ৮১ | আত্ তাকভীর | মক্কায় | ২৯ | ০১ |
| ৮২ | আল ইনফিতার | মক্কায় | ১৯ | ০১ |
| ৮৩ | আল মুতাফ্ফিফীন | মক্কায় | ৩৬ | ০১ |
| ৮৪ | আল ইনশিকাক | মক্কায় | ২৫ | ০১ |
| ৮৫ | আল বুরূজ | মক্কায় | ২২ | ০১ |
| ৮৬ | আত তারিক | মক্কায় | ১৭ | ০১ |
| ৮৭ | আল আলা | মক্কায় | ১৯ | ০১ |
| ৮৮ | আল গাশিয়া | মক্কায় | ২৬ | ০১ |
| ৮৯ | আল ফাজর | মক্কায় | ৩০ | ০১ |
| ৯০ | আল বালাদ | মক্কায় | ২০ | ০১ |
| ৯১ | আশ্ শামস | মক্কায় | ১৫ | ০১ |
| ৯২ | আল লাইল | মক্কায় | ২১ | ০১ |
| ৯৩ | আদ্ দোহা | মক্কায় | ১১ | ০১ |
| ৯৪ | আল ইনশিরাহ | মক্কায় | ০৮ | ০১ |
| ৯৫ | আত্ তীন | মক্কায় | ০৮ | ০১ |
| ৯৬ | আল আলাক | মক্কায় | ১৯ | ০১ |
| ৯৭ | আল কাদর | মক্কায় | ০৫ | ০১ |
| ৯৮ | আল বাইয়্যেনা | মদিনায় | ০৮ | ০১ |
| ৯৯ | যিলযাল | মদিনায় | ০৮ | ০১ |
| ১০০ | আল আদিয়াত | মক্কায় | ১১ | ০১ |
| ১০১ | আল কারিয়া | মক্কায় | ১১ | ০১ |
| ১০২ | আত্ তাকাসুর | মক্কায় | ০৮ | ০১ |
| ১০৩ | আল আসর | মক্কায় | ০৩ | ০১ |
| ১০৪ | আল হুমাযা | মক্কায় | ০৯ | ০১ |
| ১০৫ | আল ফীল | মক্কায় | ০৫ | ০১ |
| ১০৬ | আল কুরাইশ | মক্কায় | ০৪ | ০১ |
| ১০৭ | আল মাউন | মক্কায় | ০৭ | ০১ |
| ১০৮ | আল কাওসার | মক্কায় | ০৩ | ০১ |
| ১০৯ | আল কাফিরূন | মক্কায় | ০৬ | ০১ |
| ১১০ | আন্ নসর | মদিনায় | ০৩ | ০১ |
| ১১১ | আল লাহাব | মক্কায় | ০৫ | ০১ |
| ১১২ | আল ইখলাস | মক্কায় | ০৪ | ০১ |
| ১১৩ | আল ফালাক | মক্কায় | ০৫ | ০১ |
| ১১৪ | আন্ নাস | মক্কায় | ০৬ | ০১ |
| 1. ‘কুরআন’ শব্দের অর্থ | : সার্বজনীন পাঠ্য, অধিক অধিক পাঠ্য। |
| 2. কুরআন কোথায় সংরক্ষিত আছে? | : আল্লাহর কাছে উম্মুল কিতাবে (সূরা ৪৩ : আয়াত ০৪)। |
| 3. কুরআন কিসে রক্ষিত আছে? | : লওহে মাহফুযে (সুরক্ষিত ফলকে)। |
| 4. কুরআনের মর্যাদা কী? | : মহাবিশ্বের মালিক মহান আল্লাহর বাণী। |
| 5. কুরআন কার বাণী? | : মহাবিশ্বের মালিক মহান আল্লাহর বাণী। |
| 6. কুরআন কার প্রতি নাযিল হয়েছে? | : মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ সা.-এর প্রতি। |
| 7. রসূলের নিকট কুরআনের বাহক কে? | : জিবরিল আমিন। |
| 8. কুরআন নাযিল হয়েছে যাদের জন্যে | : সমগ্র মানবজাতির জন্যে। |
| 9. কুরআনের মূল বিষয়বস্ত্ত কী? | : মানুষ। |
| 10. কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য কী | : মানুষকে মুক্তি ও সাফল্যের পথ দেখানো। |
| 11. আল কুরআনের ভাষা | : আরবি। |
| 12. কুরআন কেন আরবিতে নাযিল হলো? | : যেহেতু রসূল এবং রসূলের প্রথম শ্রোতারা ছিলেন আরব। |
| 13. কুরআন নাযিলের পদ্ধতির নাম | : অহি। |
| 14. কুরআন কোন্ ধরণের অহি | : অহি মাতলু (তিলাওয়াতকৃত অহি)। |
| 15. প্রথম অবতীর্ণ অহি | : সূরা ৯৬ আল আলাক : আয়াত ১-৫। |
| 16. শেষ অবতীর্ণ অহি | : সূরা ০২ আল বাকারা : আয়াত ২৮১। |
| 17. কুরআন নাযিলের সূচনা কোন্ মাসে | : রমযান মাসে। |
| 18. কুরআন নাযিলের সূচনা সাল | : ৬১০ খৃষ্টাব্দ, আগস্ট মাস। |
| 19. কুরআন নাযিলের সমাপ্তি সাল | : ৬৩২ খৃষ্টাব্দ। |
| 20. কুরআন নাযিলের সূচনা যেখানে | : জাবালুন নূরের হেরা গুহায়। |
| 21. কুরআন নাযিলের সূচনা যে শহরে | : মক্কা শহরে। |
| 22. কুরআন নাযিলের রাতকে বলা হয় | : লাইলাতুল কদর (মর্যাদাবান রাত) |
| 23. কুরআনের মূল উপাদান কয়টি | : দুইটি। ভাষা ও বক্তব্য (বিষয়)। |
| 24. কুরআন অবতীর্ণের প্রথম শব্দ | : ‘ইকরা’ বা ‘পড়ো’। |
| 25. আল কুরআনের সূরা সংখ্যা | : ১১৪ (একশত চৌদ্দ)। |
| 26. আল কুরআনের আয়াত সংখ্যা | : ৬২৩৬ (ছয় হাজার দুইশত ছত্রিশ)। |
| 27. আল কুরআনের পারা সংখ্যা | : ৩০ (ত্রিশ)। |
| 28. আল কুরআনের রুকু সংখ্যা | : ৫৪০ (পাঁচশত চল্লিশ)। |
| 29. আল কুরআনের সাজদা সংখ্যা | : ১৫ (পনেরো)। |
| 30. আল কুরআনের প্রথম সূরা | : আল ফাতিহা। |
| 31. আল কুরআনের শেষ সূরা | : আন নাস। |
| 32. কুরআনের সবচাইতে বড় সূরা | : আল বাকারা, আয়াত সংখ্যা ২৮৬। |
| 33. কুরআনের মূল তফসির কোন্টি | : স্বয়ং আল কুরআন। |
| 34. কুরআনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাখ্যাতা কে | : মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ সা.। |
| 35. কুরআন হিফাযতের দায়িত্ব | : স্বয়ং আল্লাহ গ্রহণ করেছেন। |
| 36. কুরআনের প্রথম বাহক কারা? | : সাহাবায়ে কিরাম রা.। |
| 37. কুরআনের প্রতি মুসলিমদের দায়িত্ব | : জানা, মানা ও পৌঁছে দেয়া। |
| 38. কুরআনের প্রতি প্রথম ঈমান আনেন | : পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী খাদিজা রা.। |
| 39. কুরআন গ্রন্থাকারে সংকলন করান | : প্রথম খলিফা আবু বকর রা.। |
| 40. কুরআনে ‘আল্লাহ’ নামটি কতোবার | : ২৬৯৭ বার। |
| 41. প্রতি আয়াতে আল্লাহর নাম আছে | : সূরা ৫৮ আল মুজাদালায়। |
| 42. কুরআনে নবী রসূলের নাম আছে | : ২৫ জনের। |
| 43. কুরআনে মুহাম্মদ সা.-এর নাম | : ৫ বার। |
| 44. কুরআনে সাহাবীর নাম আছে | : ১ জনের, যায়েদ রা.। |
| 45. কুরআনে মহিলার নাম আছে | : ১ জনের, মরিয়ম। |
| 46. কুরআনে ভালো মানুষের নাম | : ৭জন: লুকমান, উযায়ের, তালুত, ইমরান, মরিয়ম, যায়েদ, যুলকারনাইন। |
| 47. কুরআনে মন্দ মানুষের নাম | : ৭জন: আযর, ফেরাউন, হামান, কারূণ, সামেরি, জালুত, আবু লাহাব। |
| 48. কুরআনে শহরের নাম আছে | : ৭টি: মক্কা, মদিনা, মিশর, মাদায়েন, রোম, বেবিলন, সাবা। |
| 49. কুরআন আল্লাহর বাণী হবার প্রমাণ | : স্বয়ং কুরআনই এর প্রমাণ। |
| 50. কুরআনে কুরআনের কয়টি নাম আছে? | : ৯১টি। |
| 51. আয়াতুল কুরসি কোন্ সূরায় | : সূরা বাকারা, আয়াত ২৫৫। |
| 52. মেরাজের উপহার কোন্ সূরা | : সূরা ১৭ ইসরা (বনি ইসরাঈল) |
| 53. প্রথম অবতীর্ণ পূর্ণ সূরা | : সূরা আল ফাতিহা। |
| 54. কুরআন যিনি মুখস্ত করেন | : হাফিয। |
| 55. কুরআনের যিনি তফসির করেন | : মুফাসসির। |
| 56. কুরআন যারা সুন্দরভাবে পড়েন | : কারী, কারীউল কুরআন। |
| 57. কোন্ সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ নেই | : সূরা ৯ আত তাওবা। |
| 58. কোন্ সূরায় দুইবার বিসমিল্লাহ | : সূরা ২৭ আন নামল। |
কুরআন সর্বজয়ী সর্বজ্ঞানী মহান আল্লাহর বাণী। কুরআনের ভাষা ও বক্তব্য চিরন্তন, চির শাশ্বত ও চিরঞ্জীব। বিশ্ববাসীর কাছে কুরআন এক জীবন্ত মু’জিযা। মানব সমাজের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা শুধুমাত্র আল কুরআনের অনুবর্তন কিংবা প্রত্যাখ্যানের মধ্যেই নিহিত। এই মহাগ্রন্থ আল কুরআন-
1. অদৃশ্য স্রষ্টার দৃশ্য বাণী: মানুষ তার স্রষ্টা মহান আল্লাহকে দেখেনা, তিনি অদৃশ্য, তিনি অনুভবের। কিন্তু আমরা তাঁর বাণী পড়ি, দেখি, শুনি। তাঁর বাণী পড়ে আমরা আবেগ আপ্লুত হই। কুরআন আমাদেরকে অনুভব ও বিশ্বাসে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছে দেয়। আমরা কথা বলি আমাদের প্রিয় প্রভুর সাথে কুরআনের ভাষায়।পরম করুণাময় আল্লাহ মানুষের জীবন-দর্শন ও জীবন-যাপন পদ্ধতি হিসেবে নাযিল করেছেন আল কুরআন। এ কুরআনই মহাসত্যের আলো এবং মানুষের শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণের একমাত্র গ্যারান্টি। মহান আল্লাহ বলেন:
‘‘আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে এক আলো (নবী মুহাম্মদ সা.) এবং একটি সত্য ও সঠিক পথ প্রকাশকারী কিতাব, যার দ্বারা আল্লাহ তাঁর সন্তোষ সন্ধানকারীদের শান্তি ও নিরাপত্তার পথ দেখান এবং নিজের ইচ্ছায় তিনি তাদের বের করে আনেন অন্ধকাররাশি থেকে আলোর দিকে, আর তাদের পরিচালিত করেন সরল -সঠিক পথে।’’ (সূরা ৫ আল মায়িদা : আয়াত ১৫-১৬)
‘‘হে মুহাম্মদ! এটি একটি কিতাব। আমরা এটি তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে করে তুমি মানুষকে অন্ধকাররাশি থেকে নিয়ে আসো আলোতে।’’ (সূরা ১৪ ইবরাহিম : আয়াত ১)
কিন্তু, যে ব্যক্তি কুরআন জানলোনা, বুঝলোনা, তার কাছে তো আলো আর অন্ধকার দুটোই সমান। সুতরাং আলো দেখতে হলে কুরআন বুঝতে হবে। কুরআন না বুঝলে আলোতে আসার সুযোগ কোথায়? আর কুরআন তো বুঝার জন্যে সহজ করেই নাযিল করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন:
‘‘তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করেনা? নাকি তাদের অন্তরগুলোতে তালা লাগানো রয়েছে?’’ (সূরা ৪৭ মুহাম্মদ : আয়াত ২৪)যে কোনো বাণীর মতোই কুরআন জানা ও বুঝার সাথে সাথে মানাও জরুরি। মূলত মানা, অনুসরণ করা ও বাস্তবায়ন করার জন্যেই নাযিল করা হয়েছে আল কুরআন। আল্লাহ পাক বলেন:
‘‘আর আমাদের অবতীর্ণ এ কিতাব সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। তাই তোমরা এটিকে অনুসরণ করো, মেনে চলো এবং (এতে প্রদত্ত) নির্দেশ অমান্য করাকে ভয় করো। আশা করা যায় এভাবেই তোমরা (আল্লাহর) অনুকম্পা লাভ করতে সক্ষম হবে।’ (সূরা ৬ আল আনআম : আয়াত ১৫৫)
‘‘(হে মুহাম্মদ!) আমরা এ মহাসত্য কিতাব তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গোটা মানব সমাজের জন্যে। এখন যে ব্যক্তিই এতে প্রদর্শিত পথের অনুসরণ করবে, তাতে সে নিজেরই কল্যাণ করবে।’’ (সূরা ৩৯ যুমার : আয়াত ৪১)
আপনি পুরুষ হোন কিংবা মহিলা, আপনার কাজের জন্যে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবেই জবাবদিহি করতে হবে আল্লাহর কাছে। আপনি যে কোনো দৃষ্টিভংগিই পোষণ করুন না কেন, একবার কুরআন পড়ে দেখুন। মুক্ত ও নিরপেক্ষ মনে এ গ্রন্থটিকে অধ্যয়ন করুন। আপনার বিবেক, নিরপেক্ষ মন আর নৈতিক যুক্তি যদি এ মহাগ্রন্থকে সত্য বলে গ্রহণ করে, তবে আসুন, আপনি এ গ্রন্থকে আঁকড়ে ধরুন। বিবেক ও যুক্তিকে সম্মান দিন।
আপনার বিবেক যদি এটিকে সত্য ও বাস্তব বলে গ্রহণ করে, তবে কি আপনার বিবেকের বিরুদ্ধে যাওয়া ঠিক হবে? পৃথিবীতে যতো বই পুস্তক ও যতো গ্রন্থই লেখা হয়, সেটা যে কোনো বিষয়েই লেখা হয়ে থাকনা কেন, তা মূলত লেখা হয় অনুসরণ, বাস্তবায়ন ও কার্যকর করার জন্যে। ব্যক্তিগত চিঠি থেকে আরম্ভ করে পত্র-পত্রিকা পর্যন্ত সবকিছু থেকেই মানুষ সংবাদ, তথ্য, তত্ত্ব, উপদেশ, সতর্কতা, কর্মনীতি, কর্মপন্থা ও নির্দেশিকা গ্রহণ করে। কিন্তু কুরআনের ব্যাপারটি? কী আচরণ করা হয় কুরআনের সাথে?
আল কুরআন তো মানুষের স্রষ্টা, মালিক ও প্রতিপালক মহান আল্লাহর বাণী। এ বাণীতে তিনি গোটা মানবজাতির জন্যে জীবন যাপনের নির্দেশিকা প্রদান করেছেন। তাই মানুষের কি উচিত নয়, যে কোনো গ্রন্থের চাইতে আল কুরআনকে অধিক গুরুত্ব দেয়া? এটিকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ মনে করা? অপরিহার্য বিধান হিসেবে গ্রহণ করে এটি পাঠ করা, বুঝা এবং এর মর্ম উপলব্ধি করা? সেই সাথে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল কুরআনের নির্দেশ পালন ও বাস্তবায়ন করা?
মহান আল্লাহ আল কুরআন প্রদান করেছেন। কুরআনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মহান আল্লাহ নিজেই আল কুরআনে কুরআনকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশক নামে অভিহিত করেছেন। এখানে কুরআনের ৭২টি নাম উল্লেখ করা হলো। তবে আমরা আমাদের লেখা ‘আল কুরআন আত তাফসির’ গ্রন্থে সূত্রসহ ৯১টি নাম উল্লেখ করেছি। এগুলোর অর্থ ও মর্ম জেনে নিলে কুরআন কী, তা বুঝতে খুবই সহজ হবে।
| ক্রম. | নাম | উচ্চারণ | অর্থ | ১টি সূত্র |
| ১ | اَلْكِتَابُ | আল কিতাব | মহাগ্রন্থ | ০২:০২ |
| ২ | كِتَابُ الله | কিতাবুল্লাহ | আল্লাহর কিতাব | ০৩:২৩ |
| ৩ | اَلْقُرْانُ | আল কুরআন | অধিক পঠিত | ০২:১৮৫ |
| ৪ | اَلْفُرْقَانُ | আল ফুরকান | মানদন্ড | ০২:১৮৫ |
| ৫ | اَلنُّوْرُ | আন নূর | আলো, জ্যোতি | ০৭:১৫৭ |
| ৬ | اَلْهُدى | আল হুদা | পথনির্দেশ | ০৯:৩৩ |
| ৭ | اَلذِّكْرُ | আয্ যিকর | স্মারক | ৪১:৪১ |
| ৮ | اَلْقَوْلُ | আল কওল | কথা, বাণী | ৮৬:১৩ |
| ৯ | كَلاَمُ اللهِ | কালামুল্লাহ | আল্লাহর বাণী | ০৯:০৬ |
| ১০ | مُبَارَكٌ | মুবারক | মহিমান্বিত | ২১:৫০ |
| ১১ | رَحْمَةٌ | রাহমাহ্ | অনুকম্পা | ১০:৫৭ |
| ১২ | حِكْمَةٌ بَالِغَةٌ | হিকমাতুম বালিগাহ | পরিপূর্ণ জ্ঞান | ৫৪:০৫ |
| ১৩ | اَلْحَكِيْمُ | আল হাকিম | প্রজ্ঞাময় | ১০:০১ |
| ১৪ | حَبْلُ اللهِ | হাবলুল্লাহ | আল্লাহর রজ্জু | ০৩:১০৩ |
| ১৫ | رُوْحٌ | রূহ | প্রত্যাদেশ/প্রেরণা | ৪২:৫২ |
| ১৬ | اَلْوَحْىِ | আল অহি | প্রত্যাদেশ | ২১:৪৫ |
| ১৭ | اَلْعِلْمُ | আল ইলম | মহাজ্ঞান | ০২:১৪৫ |
| ১৮ | اَلْحَقُّ | আল হক | মহাসত্য | ০৩:৬২ |
| ১৯ | اَلْبَشِيْرُ | আল বাশীর | সুসংবাদদাতা | ৪১:০৪ |
| ২০ | اَلنَّذِيْرُ | আন নাযীর | সতর্ককারী | ৪১:০৪ |
| ২১ | اَلْمَجِيْدُ | আল মাজীদ | মর্যাদাবান | ৮৫:২১ |
| ২২ | عَدْلٌ | আদল | সুষম, ন্যায্য | ০৬:১১৫ |
| ২৩ | اَمْرُ اللهِ | আমরুল্লাহ | আল্লাহর নির্দেশ | ৬৫:০৫ |
| ২৪ | مُهَيْمِنٌ | মুহাইমিন | সংরক্ষক | ০৫:৪৮ |
| ২৫ | بُرْهَانٌ | বুরহান | প্রমাণপত্র | ০৪:১৭৪ |
| ২৬ | مُبِيْنٌ | মুবীন | সুস্পষ্ট (কিতাব) | ৪৪:০২ |
| ২৭ | شِفَاءٌ | শিফা | নিরাময় | ১০:৫৭ |
| ২৮ | مَوْعِظَةٌ | মাওয়িযা | উত্তম উপদেশ | ১০:৫৭ |
| ২৯ | عَلِىٌّ | আ’লী | উচ্চ মর্যাদাবান | ৪৩:০৪ |
| ৩০ | رِسَالةُ اللهِ | রিসালাতুল্লাহ | আল্লাহর বার্তা | ৩৩:৩৯ |
| ৩১ | حُجَّةُ اللهِ البَالِغَةُ | হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ | আল্লাহর পূর্ণ প্রমাণ | ০৬:১৪৯ |
| ৩২ | اَلْمُصَدِّقُ | আল মুসাদ্দিক | সত্যায়নকারী | ০৫:৪৮ |
| ৩৩ | اَلعَزِيْزُ | আল আযীয | মহাশক্তিধর | ৪১:৪১ |
| ৩৪ | صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمِ | সিরাতুম মুস্তাকীম | সোজা পথ | ০৬:১৫৩ |
| ৩৫ | قَيِّمٌ | কাইয়িম | সঠিক-সুদৃঢ় | ১৮:০২ |
| ৩৬ | اَلْفَصْلُ | আল ফাসল | স্পষ্ট, ফায়সালা | ৮৬:১৩ |
| ৩৭ | اَلْحَدِيْثُ | আল হাদিস | বাণী | ১৮:০৬ |
| ৩৮ | اَحْسَنُ الْحَدِيْثُ | আহসানুল হাদিস | সর্বোত্তম বাণী | ৩৯:২৩ |
| ৩৯ | نَبَاُ الْعَظِيْمِ | নাবাউল আযীম | মহাসংবাদ | ৭৮:০২ |
| ৪০ | مُتَشَابِهٌ | মুতাশাবিহ | সাদৃশ্যপূর্ণ | ৩৯:২৩ |
| ৪১ | مَثَانِىْ | মাছানি | পুনরাবৃত্ত | ৩৯:২৩ |
| ৪২ | تَنْزِيْلٌ | তানযীল | অবতীর্ণ | ৫৬:৮০ |
| ৪৩ | عَرَبِىٌّ | আরাবি | আরবি ভাষার | ১২:০২ |
| ৪৪ | بَصاََئِرٌ | বাসায়ির | প্রমাণ | ০৭:২০৩ |
| ৪৫ | بَيَانٌ | বায়ান | স্পষ্ট বার্তা | ০৩:১৩৮ |
| ৪৬ | اٰيٰتُ اللهِ | আয়াতুল্লাহ | আল্লাহর আয়াত | ০২:২৫২ |
| ৪৭ | عَجَبٌ | আজব | চমৎকার | ৭২:০১ |
| ৪৮ | تَذْكِرَةٌ | তাযকিরাহ | উপদেশবার্তা | ৮০:১১ |
| ৪৯ | عُرْوَةُ الْوُثْقى | উরওয়াতুল উসকা | মজবুত অবলম্বন | ০২:২৫৬ |
| ৫০ | اَلصِّدْقُ | আস সিদ্ক | মহাসত্য | ৩৯:৩৩ |
| ৫১ | مُنَادِىْ | মুনাদি | আহবায়ক | ০৩:১৯৩ |
| ৫২ | اَلْبُشْرى | আল বুশরা | সুসংবাদ | ২৭:০২ |
| ৫৩ | بَيِّنٰتٌ | বায়্যিনাত | সুস্পষ্ট প্রমাণ | ০২:১৮৫ |
| ৫৪ | بَلغٌ | বালাগ | বার্তা | ১৪:৫২ |
| ৫৫ | اَلْقَصَصُ | আল কাসাস | বৃত্তান্ত | ০৩:৬২ |
| ৫৬ | اَلْكَرِيْمُ | আল কারিম | উচ্চ মর্যাদাবান | ৫৬:৭৭ |
| ৫৭ | اَلْمِيْزَانُ | আল মীযান | সুষম বিধান | ৪২:১৭ |
| ৫৮ | نِعْمَةُ اللهِ | নে’মাতুল্লাহ | আল্লাহর অনুগ্রহ | ০৫:০৩ |
| ৫৯ | هُدَى اللهِ | হুদাল্লাহ | আল্লাহর গাইডেন্স | ০২:১২০ |
| ৬০ | كِتَابٌ مُبِيْنٌ | কিতাবুন মুবিন | সুস্পষ্ট কিতাব | ০৫:১৫ |
| ৬১ | كِتَابٌ حَكِيْمٌ | কিতাবুন হাকিম | বিজ্ঞানময় কিতাব | ১০:০১ |
| ৬২ | قٌرْانٌ مُبِيْنٌ | কুরআনুম মুবিন | সুস্পষ্ট কুরআন | ১৫:০১ |
| ৬৩ | كِتَابٌ مَّسْطُوْرٌ | কিতাবুম মাস্তূর | ছত্রে লেখা কিতাব | ৫২:০২ |
| ৬৪ | كِتَابٌ عِزِيْزٌ | কিতাবুন আযীয | শক্তিধর কিতাব | ৪১:৪১ |
| ৬৫ | ذِكْرُ الْحَكِيْمُ | যিকরুল হাকিম | বিজ্ঞানময় উপদেশ | ০৩:৫৮ |
| ৬৬ | مَتْلُوْا | মাতলু | তেলাওয়াতকৃত | ০৩:১০৮ |
| ৬৭ | هُدًى لِّلنَّاسِ | হুদাল্লিন্নাস | মানবজাতির দিশারি | ০২:১৮৫ |
| ৬৮ | ذِكْرُ اللهِ | যিকরুল্লাহ | আল্লাহর উপদেশ | ৩৯:২৩ |
| ৬৯ | ذِكْرٌ لِلْعَالَمِيْنَ | যিকরুল্লিল আলামিন | জগদ্বাসীর জন্যে উপদেশ | ৩৮:৮৭ |
| ৭০ | نُوْرُ اللهِ | নূরুল্লাহ | আল্লাহর আলো | ০৯:৩২ |
| ৭১ | نُوْرٌ مُّبِيْنٌ | নূরুম মুবিন | সুস্পষ্ট আলো | ০৪:১৭৪ |
| ৭২ | كَلِمَةُ اللهِ | কালেমাতুল্লাহ | আল্লাহর কথা | ০৯:৪০ |
| অলি | বন্ধু, অভিভাবক, পৃষ্ঠপোষক, সাহায্যকারী। আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। বহুবচন : আওলিয়া। |
| অস্অসা | কুমন্ত্রণা দেয়া। |
| অসিয়ত | নির্দেশ, উপদেশ। |
| অহি | ইশারা, ইংগিত, সুক্ষ্ণ ইংগিত, নবী রসূলদের কাছে আল্লাহর বার্তা প্রেরণ পদ্ধতি। নবী রসূলদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত বার্তা। |
| আওলাদ | সন্তান সন্ততি, ছেলে মেয়ে, বংশধর। |
| আকল | বুঝ, বুদ্ধি, জ্ঞান, সচেতনতা, বিবেক, বিবেচনা, যাচাই ক্ষমতা। |
| আখিরাত | পরজগত, পরকাল। মৃত্যুপরবর্তী জীবন। দুনিয়ার বিপরীত। |
| আজব | বিস্ময়কর। |
| আদ | প্রাচীন শক্তিশালী জাতি। সালেহ আ. এর জাতি। আল্লাহর রসূলকে প্রত্যাখান করার কারণে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। |
| আদল | সুবিচার, ন্যায়বিচার, ইনসাফ (justice), ন্যায্য ও সুষম নীতি (balance)। |
| আনসার | সাহায্যকারী। মুহাজিরদের সাহায্যকারী। |
| আব্দ | অনুগত, দাস, বান্দা, উপাসক। |
| আবদুল্লাহ্ | আল্লাহর দাস, আল্লাহর বান্দা। |
| আমল | কর্ম, কার্যক্রম, কর্মকান্ড, আচরণ; চিন্তা ও কর্ম। ইবাদত। |
| আমলে সালেহ্ | পুণ্যকর্ম, নিখুঁত কর্ম, সংশোধিত কাজ, মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী কাজ, যোগ্যতার সাথে সম্পাদিত নিখুঁত কাজ। ঈমান ভিত্তিক আমল। আল্লাহর কিতাব ও বিধানের অনুসারী কাজ, রসূলের অনুসরণ ভিত্তিক কাজ। |
| আমানত | নিরাপত্তা, নিরাপত্তায় রাখা, নিরাপত্তায় থাকা বা রাখা বস্ত্ত। |
| আযাব | শাস্তি, দন্ড, পরকালীন শাস্তি। |
| আরশ | উচুঁ আসন, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, আল্লাহর আরশ। |
| আল কিতাব | আল্লাহর কিতাব, আল কুরআন। |
| আল্লাহ | এটি মহাবিশ্বের, পৃথিবীর এবং সবার ও সবকিছুর স্রষ্টা, মালিক, প্রভু ও পরিচালকের মূল নাম। |
| আল হামদুলিল্লাহ | সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, সমস্ত কৃতজ্ঞতা আল্লাহর। |
| আলেমুল গায়েব | অদৃশ্যের জ্ঞানী, সর্বজ্ঞানী। আল্লাহর একটি সিফত। |
| আসহাবুন নার | আগুনের (জাহান্নামের) সাথিরা, জাহান্নামের অধিবাসী, জাহান্নামবাসী, জাহান্নামওয়ালা লোকেরা। |
| আসহাবুল ইয়ামিন | ডান পাশের লোকেরা, ডানের সাথিরা, ডানদিকের লোকেরা, সত্যপন্থীরা। সৌভাগ্যবান লোকেরা। |
| আসহাবুল কাহাফ | গুহার সাথিরা, গুহার লোকেরা, গুহায় অবস্থান কারীরা, গুহার অধিবাসিরা। |
| আসহাবুল জান্নাত | জান্নাতের সাথিরা, জান্নাতের অধিবাসী, জান্নাতবাসী, জান্নাতওয়ালা লোকেরা। |
| আসহাবুস্ শিমাল | বাম পাশের লোকেরা, বাম দিকের লোকেরা। পথভ্রষ্ট লোকেরা। ভ্রান্ত পথের অনুসারীরা। দুর্ভাগারা। |
| আয়াত | নিদর্শন। কুরআনের বাক্য। |
| আয়াতুল কুরসি | এটি সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। এ আয়াতটিকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়। এটি মহান আল্লাহর হামদ ও প্রশংসা সম্বলিত শ্রেষ্ঠ আয়াত। মুমিনদের কর্তব্য এটি মুখস্ত করা এবং সব সময় পাঠ করা। |
| আহলে বাইত | ঘরবাসী, নবীর পরিবার। |
| ইকামত | দাঁড়ানো, দাঁড় করানো, প্রতিষ্ঠা করা। |
| ইখ্লাস্ | বিশ্বাস ও সংকল্পের নিষ্ঠা। |
| ইছার | প্রাধান্য দেয়া, আত্মত্যাগ করা। অপরকে অগ্রাধিকার দেয়া। |
| ইদ্দত | তালাকপ্রাপ্তা এবং স্বামী মরে যাওয়া নারীদের পরবর্তী বিয়ের জন্যে অপেক্ষার মেয়াদকাল। |
| ইন্জিল | ঈসা আ. এর প্রতি অবতীর্ণ আল্লাহর কিতাব। |
| ইনশাল্লাহ | যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন। আল্লাহ চাইলে হবে। |
| ইবলিস | নিরাশ ও হতাশ ব্যক্তি, শয়তান। অভিশপ্ত ও নিরাশ শয়তান। |
| ইবাদত | এটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। এর মৌলিক অর্থ হলো : প্রার্থনা করা, দোয়া করা; ভক্তি ও বিনয় প্রকাশ করা; উপাসনা করা, পূজা করা; আনুগত্য করা, হুকুম পালন করা; দাসত্ব করা। |
| ইল্হাম | অন্তরগত করা, অনুভূতি সৃষ্টি করা, মনে উদ্রেক করা, অন্তরে নিক্ষেপ করা, অহি করা। |
| ইলাহ্ | আইন ও বিধানদাতা। হুকুমকর্তা। ত্রাণকর্তা। উদ্ধারকারী। প্রার্থনা শ্রবণকারী। বিনয়, আনুগত্য, ভক্তি-শ্রদ্ধা, উপাসনা ও প্রার্থনা লাভের মালিক, উপাস্য। সার্বভৌম সত্তা। |
| ইল্লিয়্যিন | ইল্লিয়্যিন-এর আভিধানিক অর্থ উচ্চ মর্যাদাবানদের দফতর। কুরআনে সেই স্থানকে ইল্লিয়্যিন বলা হয়েছে, যেখানে সৎ ও সত্যপন্থী লোকদের তালিকা, কৃতকর্মের রেকর্ড এবং মৃত্যুর পর তাদের রূহ সংরক্ষণ করা হয়। |
| ইসলাম | আভিধানিক অর্থ : আনুগত্য ও বাধ্যতা স্বীকার করা, হুকুম পালন করা। আত্মসমর্পণ করা। পারিভাষিক অর্থ : আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহর আনুগত্যের ভিত্তিতে জীবন যাপনের বিধান। আল্লাহ প্রদত্ত দীন। |
| ইস্লাহ | সংশোধন হওয়া, সংশোধন করা, সংস্কার করা, পরিশুদ্ধ করা। |
| ইস্তিগফার | ক্ষমা প্রার্থনা করা, ক্ষমা চাওয়া। |
| ইহ্সান | কল্যাণপরায়ণতা, পরোপকার, দায়িত্বের চাইতেও অধিক কর্তব্যবোধ। |
| ইহুদি | ইয়াহুদ নামক ব্যক্তির অনুসারী, ইহুদি গোষ্ঠী। তাওরাত কিতাবের অনুসারী হবার দাবিদার গোষ্ঠী। |
| ঈমান | বিশ্বাস, প্রত্যয়। এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ভিত্তিক দৃষ্টিভংগি। আল্লাহর অস্তিত্ব, একত্ব ও তাঁর নিরংকুশ ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। সেই সাথে রিসালাত এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। |
| উকিল | কর্মসম্পাদক, কার্যনির্বাহী, তত্ত্বাবধায়ক, দায়িত্বশীল। আল্লাহর গুণবাচক নাম। |
| উম্মত | দল, আদর্শিক দল, সম বিশ্বাসী দল, জাতি, সম্প্রদায়। |
| উমরা | উমরা হলো হজ্জের দিনগুলো ছাড়া অন্য সময় ইহরাম করে কাবা তাওয়াফ করা, সাফা মারওয়ায় সায়ী করা মাথা কামানো বা চুলছাঁটা ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করা। |
| ওফাত | তুলে নেয়া, মৃত্যু। |
| ওযর | আপত্তি, অজুহাত। |
| এরাদা | ইচ্ছা করা, চাওয়া, সংকল্প করা, সিদ্ধান্ত নেয়া। উদ্দেশ্য। |
| এলেম | জ্ঞান, কুরআন সুন্নাহর জ্ঞান, দীনি জ্ঞান। |
| ওয়ায | উপদেশ, কল্যাণকর উপদেশ। |
| ওয়ারিশ | মালিক, উত্তরাধিকারী। আইনগত উত্তরাধিকারী। |
| কওম | ব্যক্তি, জনগণ, লোকজন, জাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়। |
| কফিল | তত্ত্বাবধানকারী। দায়িত্বশীল। |
| কলেমা | কথা, বাণী, বাক্য। |
| কসর | কর্তন করা, সংক্ষিপ্ত করা। সফরের সময়কালে চার রাকাতের ফরয নামায কর্তন করে দুই রাকাত পড়া। |
| কাফির | আল্লাহকে অস্বীকারকারী, আল্লাহর রসূল ও আল্লাহর বাণী প্রত্যাখ্যানকারী, আল্লাহর হুকুম অমান্যকারী, সত্য প্রত্যাখ্যানকারী। অমুসলিম। অবিশ্বাসী। |
| কাবা | মক্কায় অবস্থিত আল্লাহর ঘর। মুসলিমদের কিবলা। |
| কায়েম | প্রতিষ্ঠিত, প্রতিষ্ঠা। |
| কুফর | সত্যকে ঢেকে রাখা। সত্য অস্বীকার করা, আল্লাহকে অস্বীকার করা। ইসলামকে অস্বীকার করা। মুহাম্মদ সা.-কে আল্লাহর রসূল এবং শেষ রসূল হিসেবে অস্বীকার করা। আখিরাতে অবিশ্বাস করা। |
| কুরআন | আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর বাণী। আভিধানিক অর্থ : অতি পঠিত, অধিক অধিক পঠিত। |
| কিবলা | সেই ঘর যাকে সম্মুখে রেখে ইবাদত করতে হয়। কাবা মুসলিমদের কিবলা। |
| কিরাত | পাঠ করা, অধ্যয়ন করা, অনুধাবন করা। কুরআন পাঠ করা। |
| কিসাস | ‘কিসাস’ ইসলামি দন্ডবিধির একটি পরিভাষা। অর্থ : অপরাধের আনুপাতিক শাস্তি বিধান, বা অপরাধীকে সমপরিমাণ শাস্তি প্রদান করা। |
| কিয়ামত | পুনরুত্থান দিবস। মহাদিবস। |
| খলিফা | উত্তরাধিকারী, স্থলাভিষিক্ত। পরবর্তী প্রজন্ম। প্রতিনিধি। শাসক। |
| খয়রাত | কল্যাণ, কল্যাণকর, কল্যাণকর কাজ, জনকল্যাণের কাজ। |
| খালিস্ | বিশুদ্ধ, অনাবিল, একনিষ্ঠ, নিষ্ঠাবান। |
| খিমার | মুসলিম মহিলাদের মাথা ও গন্ডদেশ ঢেকে রাখার কাপড়, ওড়না। |
| খিয়ানত | বিশ্বাস ভঙ্গ করা, আমানতের খিয়ানত করা। গাদ্দারি করা। |
| গজব | ক্রোধ, রোষ। |
| গাফিল | অচেতন, অসচেতন, অমনোযোগী। |
| গীবত | কারো অনুপস্থিতিতে তার নিন্দা করা। |
| জয়ীফ | দুর্বল, অক্ষম। |
| জানাবত | বীর্যপাত জনিত অপবিত্রতা। |
| জান্নাত | বাগান, বাগ বাগিচা, উদ্যান, বেহেশত জান্নাত। পরজীবনে মুমিনদের আবাসস্থল। মুমিনদের পুরস্কার। |
| জান্নাতুন নায়ীম | নিয়ামতে ভরা জান্নাত। উপভোগ্য সামগ্রীতে ভরপুর জান্নাত। |
| জান্নাতুল ফেরদাউস | সর্বোচ্চ জান্নাত। সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ জান্নাত। |
| জাহান্নাম | অগ্নি গহবর। কাফিরদের শাস্তির স্থল। কাফিরদের প্রতিদান ও প্রতিফল। |
| জাহিল | মুর্খ, অজ্ঞ, অন্ধ, অন্ধ বিশ্বাসী। |
| জিন | জিন জাতি। এরা আগুনের তৈরি। মানুষের পূর্বে পৃথিবী ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তাদের উপর ন্যস্ত ছিলো। |
| জিহাদ | ইসলামের কাজে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালানো। |
| জুনুবি | বীর্যপাত জনিত অপবিত্র ব্যক্তি। |
| তওবা | অনুতপ্ত হওয়া। অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসা, অনুশোচনা করা। ফিরে আসা। অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা। |
| তকদির | নির্ধারণ করা, নির্দিষ্ট করা, নির্ধারিত। |
| তরক | ছেড়ে দেয়া, ত্যাগ করা, ছেড়ে যাওয়া। |
| তস্বিহ্ | সাতাঁর কাটা, গতিশীল হওয়া, চলা। ত্রুটিহীনতা ও পবিত্রতা ঘোষণা করা, মহানত্ব ঘোষণা করা। |
| তাওরাত | মূসা আ. এর প্রতি অবতীর্ণ আল্লাহর কিতাব। |
| তাওহীদ | একত্ব, আল্লাহর একত্ব। আল্লাহর সত্তা, ক্ষমতা, অধিকার ও সকল গুণাবলিতে আল্লাহকে এক, অদ্বিতীয় বলে জানা ও মানা। শিরকের বিপরীত। |
| তাওয়াফ | আল্লাহকে স্মরণ করা অবস্থায় কাবার চারদিকে সাতবার ঘোরা। |
| তাকওয়া | আভিধানিক অর্থ- সতর্কতা, সচেতনতা। পারিভাষিক অর্থ : মন্দ ও অনিষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করে চলা; আল্লাহভীতি; নিজেকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষার জন্যে সতর্ক হয়ে চলা। আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ পরিত্যাগ করে চলা। |
| তাগুত | বিদ্রোহী, আল্লাদ্রোহী, অবাধ্য, সীমালংঘনকারী। |
| তাবিল | ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। মর্মার্থ বের করা। |
| তামান্না | আশা করা, আকাংখা করা, ইচ্ছা করা। |
| তালাক | বিবাহ বন্ধন থেকে স্ত্রীকে বিচ্ছেদ করা, বা মুক্ত করা। |
| তালিম | শিক্ষা দান করা। |
| তিলাওয়াত | পাঠ করা, আবৃত্তি করা। অর্থ উদ্ধার করা, উপলব্ধি করা। অধ্যয়ন করা। শিক্ষাদান করা, আলো গ্রহণ করা। আলোকিত ও উদ্ভাসিত হওয়া। মেনে চলা, অনুসরণ করা, পিছে পিছে চলা। |
| দরস | পাঠ। |
| দীন | এটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। এর অর্থ : জীবন ব্যবস্থা। আনুগত্য। আনুগত্যের বিধান। আইন। রাষ্ট্র ব্যবস্থা। প্রতিদান, প্রতিফল। |
| দুনিয়া | নিকটের, ইহজগত, ইহকাল। |
| দোয়া | প্রার্থনা, ডাকা, আহবান করা, নিবেদন করা, ফরিয়াদ করা, চাওয়া, আশা করা, আকাংখা করা। |
| নফল | আবশ্যিক নয় এমন। আবশ্যিক -এর অতিরিক্ত। যেমন নফল ইবাদত। |
| নফ্স | নিজ, আত্মা, মন, ব্যক্তি। |
| নফসে মুতমায়িন্না | প্রশান্ত ব্যক্তি বা প্রশান্ত আত্মা। এর মর্মার্থ হলো : সেই ব্যক্তি, যে নি:সংশয়ে এক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে অটল-অবিচল হয়ে প্রশান্ত হৃদয়ে শুধুমাত্র তাঁরই হুকুম ও বিধান মতো জীবন যাপন করে। |
| নবী | নবী মানে সংবাদ বাহক, আল্লাহর পক্ষ থেকে সংবাদ ও বাণী বাহক। |
| নবুয়্যত | নবী প্রসঙ্গ। |
| নহর | নদ-নদী। |
| নাজাত | মুক্তি, উদ্ধার। |
| নাযিল | অবতীর্ণ হওয়া, অবতরণ করা। |
| নাসারা | খৃষ্টান। যীশু খৃষ্টের অনুসারী হবার দাবিদার গোষ্ঠী। |
| নূর | আলো, জ্যোতি। আল্লাহর গুণবাচক নাম। এটি কুরআনেরও একটি গুণবাচক নাম। |
| ফকির | নি:স্ব, অসহায়, অভাবী, সাহায্যের মুখাপেক্ষী। সাহায্যপ্রার্থী। |
| ফাসাদ | বিশৃংখলা, বিপর্যয়, অশান্তি। |
| ফাসিক | সীমালংঘনকারী, পাপাচারী। আল্লাহর আইন ও ইসলামের সীমালংঘনকারী ব্যক্তি। আল্লাহর হুকুম ও বিধান অমান্যকারী। |
| ফাহেশা | অশ্লীল কাজ, পাপকাজ, জিনা ব্যাভিচার, নোংরা কাজ। |
| ফিতনা | পরীক্ষা, পরীক্ষারস্থল, পরীক্ষার বস্ত্ত, বিশৃংখলা, অশান্তি। |
| ফিতরাত | স্বভাব, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য। |
| ফিদিয়া | ওযর বশত শরিয়তের কোনো বিধান পালন করতে অক্ষম হলে কিংবা কোনো বিধি ভঙ্গ হলে তার পরিবর্তে করণীয় বিধানকে ফিদিয়া বলা হয়। |
| ফিরকা | বিচ্ছিন্ন দল, উপদল, বিচ্ছিন্নতা। |
| ফী সাবিলিল্লাহ | আল্লাহর পথে, আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে। আল্লাহর জন্যে। |
| ফুরকান | মানদন্ড, পার্থক্যকারী। সত্যমিথ্যার পার্থক্যকারী। |
| বনি | সন্তান বা বংশধর। বনি আদম- আদমের বংশধর। বনি ইসরাঈল- ইসরাঈলের বংশধর। |
| বাতিল | মিথ্যা, ভিত্তিহীন। |
| বয়ান | বর্ণনা, বার্তা, ব্যাখ্যা, বিস্তারিত ব্যাখ্যা। |
| বুহতান | অপবাদ। কারো প্রতি মিথ্যা দোষারোপ করা। |
| মউত | মৃত্যু। |
| মকর | চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র। |
| মদদ | সাহায্য করা, শক্তিশালী করা। |
| মসজিদ | সাজদার স্থান, সালাত আদায়ের স্থান। এক আল্লাহর ইবাদতের স্থান। |
| মসজিদুল হারাম | আভিধানিক অর্থ- মহাসম্মানিত মসজিদ। কিন্তু এটি একটি পরিভাষা। এর দ্বারা সেই মসজিদকে বুঝানো হয় যা কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে কাবার চারদিকে নির্মাণ করা হয়েছে। |
| মাইয়্যেত | মৃত, মৃত ব্যক্তি। |
| মাওলা | অভিভাবক, পৃষ্ঠপোষক, সাহায্যকারী। আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। |
| মাকরূহ | অপছন্দনীয়। ঘৃণ্য। |
| মাগফিরত | ক্ষমা। |
| মানাসিক | ইবাদতের নিয়ম পদ্ধতি। |
| মান্না সালওয়া | মান্না ও সালওয়া ছিলো আল্লাহর পক্ষ থেকে বনি ইসরাঈলের জন্যে অবতীর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য। মান্না ছিলো ধনিয়ার বীজের মতো দেখতে। এটা ছিলো মিষ্টিখাদ্য, কুয়াশার মতো মাটিতে পড়ে জমে থাকতো। আর সালওয়া হলো কোয়েল জাতীয় পাখি। |
| মাবুদ | প্রভু, উপাস্য। আল্লাহর একটি সিফত। |
| মাশাআল্লাহ্ | আল্লাহ যা চেয়েছেন তাই হয়েছে। |
| মাসেহ্ | মুছে নেয়া। গোসল ও অযুর বিকল্প হিসেবে মুখমন্ডল এবং দুই হাত কুনুই পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন মাটি দিয়ে মুছে নেয়া। অযুর ক্ষেত্রে মাথা মুছে নেয়া, মোজার উপর দিয়ে পা মুছে নেয়া। |
| মিজান | ওজনের যন্ত্র, পরিমাপ যন্ত্র, দাঁড়িপাল্লা, মাপকাঠি। পরকালে মানুষের পার্থিব জীবনের ভালো মন্দ কর্মকান্ড পরিমাপ করার মানদন্ড। |
| মিরাস্ | মালিকানা, ওয়ারিশি। |
| মিল্লাত | ধর্ম, আদর্শ, বিশ্বাস। |
| মিসকিন | অভাবী, দরিদ্র। |
| মুখলিস | নিষ্ঠাবান; তৌহিদবাদী। |
| মুত্তাকি | সৎ, সতর্কব্যক্তি, কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তি, আল্লাহভীরু, নিজেকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষার ব্যাপারে সতর্ক ব্যক্তি। নিজেকে মন্দ ও অনিষ্ট থেকে রক্ষায় সচেতন ব্যক্তি। আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ পরিত্যাগকারী। |
| মুনাফিক | দ্বিমুখী ব্যক্তি। যে নিজেকে মুসলিম বলে প্রকাশ করে, আবার কাফিরদের সাথে এবং কুফুরির সাথে সম্পর্ক রাখে এমন ব্যক্তি। যার কথায় এবং কাজে মিল নেই। |
| মুমিন | ঈমানি দৃষ্টিভংগির ধারক ও বাহক ব্যক্তি। |
| মুশরিক | বহুত্ববাদী। আল্লাহর অংশীদার, সমকক্ষ, সন্তান, স্ত্রী ও পিতা মাতা সাব্যস্তকারী। ত্রিত্ববাদী। |
| মুসলিম | ঈমানের সাথে আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণকারী। আল্লাহর হুকুম পালনকারী। আল্লাহর আনুগত্য ও বাধ্যতা মেনে নিয়ে জীবন যাপনকারী। আল্লাহর আনুগত্যের জীবন যাপনকারী। আল্লাহ প্রদত্ত বিধানের অনুসারী। |
| মুসল্লি | সালাত আদায়কারী। |
| মুসাল্লা | সালাত আদায়ের স্থান। |
| মুহাজির | হিজরতকারী, পরিত্যাগকারী, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজের ঘরবাড়ি ত্যাগকারী, দেশ ত্যাগকারী, জন্মভূমি ত্যাগকারী। |
| মুবারক | কল্যাণময়। |
| মুস্তাহাব | পছন্দনীয়, প্রিয়। |
| যবুর | দাউদ আ.-এর প্রতি অবতীর্ণ আল্লাহর কিতাব। |
| যাকাত | যাকাত অর্থ : সম্পদ পবিত্র ও প্রবৃদ্ধ করা। সম্পদ থেকে আল্লাহর নির্ধারিত অংশ নির্দিষ্ট প্রাপকদের উদ্দেশ্যে বের করে দেয়া। আভিধানিক অর্থ : সাদা ও শুদ্ধ করা, বৃদ্ধি ও বিকশিত করা। |
| যালিম | অন্যায়কারী, অবিচারক, সীমালংঘনকারী, অধিকারহরণকারী, নির্যাতনকারী। ন্যায়নীতি লংঘনকারী। |
| যিকির | আলোচনা করা, স্মরণ করা, উপদেশ ও শিক্ষা গ্রহণ করা, সতর্ক করা, কুরআন তিলাওয়াত করা, সালাত আদায় করা, আল্লাহর প্রশংসা করা, আল্লাহর একত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা। |
| যুলুম | অন্যায়, অবিচার, সীমালংঘন, নির্যাতন, অধিকার হরণ। ন্যায়ের বিপরীত কাজ। শিরক। |
| রসূল | বার্তা বাহক, দূত, মানুষের কাছে আল্লাহর মনোনীত বার্তা বাহক। |
| রসূলুল্লাহ | আল্লাহর রসূল, আল্লাহর বার্তাবাহক, আল্লাহর দূত। মুহাম্মদ সা.। |
| রিযিক | জীবিকা, জীবনোপকরণ, খাদ্য, জীবন যাপনের প্রয়োজনীয় উপকরণ বা সামগ্রী। |
| রিবা | ‘রিবা’ কে বাংলায় বলা হয় সুদ এবং ইংরেজিতে বলা হয় usury এবং interest । পারিভাষিক অর্থে আরবরা ‘রিবা’ বলে এমন বর্ধিত অংকের অর্থ আদায়কে, যা ঋণদাতা ঋণগ্রহিতার নিকট থেকে একটি ধার্যকৃত হারে মূল অর্থের (পুজির) অতিরিক্ত হিসাবে আদায় করে। |
| রিসালাত | রসূল প্রসঙ্গ। |
| রুকু | নত হওয়া, সালাতে রুকু করা। কুরআনের কয়েকটি আয়াত সম্বলিত অংশ। |
| রূহ | আত্মা, জীবন, প্রেরণা, জিবরিল। |
| লওহে মাহফুয | সুরক্ষিত ফলক, যাতে আল্লাহর কিতাব লিপিবদ্ধ রয়েছে। |
| লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ | আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই। |
| লাইলাতুল কদর | মর্যাদাপূর্ণ রাত, ফায়সালার রাত, কুরআন নাযিলের রাত। |
| লোকমান | প্রাচীন আরবের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি। |
| শরিয়ত, শরিয়া | বিধি ব্যবস্থা, বিধিবদ্ধ নিয়ম পদ্ধতি, আইন কানুন, সীমারেখা। |
| শয়তান | জিন জাতির সদস্য। হযরত আদমকে সাজদা করার ব্যাপারে আল্লাহর আদেশ অমান্য করে অভিশপ্ত হয়। ইবলিস্। |
| শহীদ | সাক্ষী, প্রত্যক্ষ দর্শী, আল্লাহর পথে নিহত ব্যক্তি। সত্যের সাক্ষী। |
| শাহাদত | প্রত্যক্ষ দর্শন, সাক্ষ্য দেয়া, আল্লাহর পথে নিহত হওয়া। |
| শাহাদাহ | সাক্ষ্য, ঈমানের সাক্ষ্য, ঈমান আনার ঘোষণা। |
| শিরক | শিরক হলো তাওহীদের বিপরীত। এর অর্থ বহুত্ববাদ। আল্লাহর অংশীদার সাব্যস্ত করা; কাউকেও বা কোনো কিছুকে আল্লাহর অংশীদার বা সমকক্ষ সাব্যস্ত করা। আল্লাহর স্ত্রী পুত্র সাব্যস্ত করা, ত্রিত্ত্ববাদে বিশ্বাস করা। |
| সওয়াল | প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা। জানতে চাওয়া। |
| সওয়াব | পুরস্কার। প্রতিদান, প্রতিফল। |
| সহিফা | গ্রন্থ, কিতাব, ছোট কিতাব। অতীত রসূলদের প্রতি অবতীর্ণ আল্লাহর কিতাব। |
| সাওম | রোযা পালন করা, চুপ থাকা। |
| সাদাকা | সদকা, দান, মানতের প্রদেয়, যাকাত। |
| সাজদা | অবনত হওয়া, সাজদা করা। |
| সাফা মারওয়া | সাফা এবং মারওয়া মক্কার দুটি পাহাড়। সাফা কাবা ঘরের নিকট দক্ষিণ-পূর্ব এবং মারওয়া উত্তর-পূর্ব কোণের দিকে অবস্থিত। পাহাড় দুটি উত্তর দক্ষিণে সোজাসুজি পরস্পর থেকে ৪২০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত। ইবরাহিম আলাহিস সালামের স্ত্রী হাজেরা পানির সন্ধানে এ দুটি পাহাড়ের মাঝে সায়ী (দোড়াদৌড়ি) করেছিলেন। তাঁরই স্মৃতি বিজড়িত সেই সায়ী মুসলমানদের জন্যে আল্লাহ পাক কল্যাণের কাজ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। |
| সাবিলিল্লাহ্ | আল্লাহর পথ। আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ। |
| সাবী | পিতৃ পুরুষের ধর্মত্যাগ করে ভিন্ন ধর্ম, কিংবা উন্নততর ধর্ম গ্রহণকারী। |
| সামুদ | প্রাচীন শক্তিশালী জাতি। হুদ আ. -এর জাতি। আল্লাহর রসূলকে প্রত্যাখ্যান করার কারণে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। |
| সালাত | নামায, দোয়া, অনুগ্রহ প্রার্থনা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা, অনুকম্পা করা, মর্যাদা দান করা। |
| সালাম | শান্তি, নিরাপত্তা। ইসলামি সম্বোধন। |
| সালেহ্ | সৎ, যোগ্য, শুদ্ধ, পরিশুদ্ধ, মধ্যপন্থী, নিখুঁতভাবে কর্ম সম্পাদনকারী, উন্নত কর্ম সম্পাদনকারী। |
| সিজ্জীন | সিজ্জীনের আভিধানিক অর্থ- কয়েদ খানা। কুরআনে সেই স্থানকে সিজ্জীন বলা হয়েছে, যেখানে পাপীদের তালিকা, তাদের কৃতকর্মের রেকর্ড এবং মৃত্যুর পর তাদের আত্মা সংরক্ষণ করা হয়। |
| সিরাতুল মুসতাকিম | সুদৃঢ় পথ, সরল পথ, সঠিক পথ। আল্লাহর নির্দেশিত পথ, মুক্তির পথ, জান্নাতের পথ। |
| সুন্নত | নিয়ম, নীতি, রীতি, কর্মপদ্ধতি। রসূল সা. -এর কর্মপদ্ধতি বা রীতি। রসূল সা. -এর আদর্শ বা নীতি। |
| সুবহানাল্লাহ | সব কিছুর নিখুঁত পরিচালক। ক্রটিমুক্ত পবিত্র মহান আল্লাহ। |
| সূরা | কুরআনের একটি নির্দিষ্ট অধ্যায়। |
| হজ্জ | হজ্জ হলো যিলহজ্জ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখে ইহরাম করে মক্কায় অবস্থিত কাবা ঘর তাওয়াফ, আরাফায় অবস্থান, মুজদালিফায় অবস্থান, মিনায় অবস্থান, কুরবানি করা, মাথা কামানো বা চুলছাঁটা, সাফা মারওয়ায় সায়ী করা ইত্যাদি বিধিবদ্ধ কার্যক্রম সম্পাদন করা। |
| হাজির | উপস্থিত, সাক্ষী। |
| হাবিয়া | ‘হাবিয়া’ মানে সেই গভীর গর্ত, যেখানে উপর থেকে কিছু পড়ে যায়। পাপীদের শাস্তির জন্যে যে হাবিয়া (গর্ত) হবে, তাতে জ্বলন্ত আগুন প্রচন্ড উত্তপ্ত করে রাখা হবে। |
| হারাম | নিষিদ্ধ। পবিত্র, সম্মানিত, মর্যাদাপূর্ণ। |
| হালাক | মৃত্যু, ধ্বংস। |
| হালাল | বৈধ। হারাম নয়। |
| হাশর | সমবেত হওয়া, পুনরুত্থানের পর বিচারের জন্য একত্রিত হওয়া বা করা। |
| হায়াত | জীবন। |
| হিজরত | ত্যাগ করা, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজের ঘরবাড়ি ত্যাগ করা বা দেশ ত্যাগ করা। |
| হিজাব | মুসলিম মহিলাদের দেহ আবৃতকারী শালীন পোশাক। |
| হিদায়াত | আল্লাহর নির্দেশিত পথ, সত্যের পথ। আল্লাহর নির্দেশিত পথ দেখানো, সত্যের পথে পরিচালিত করা। |
| হুদুদ | সীমা, আইন, বিধান, দন্ড আইন। |
| হুর | সুন্দরী নারীকুল। হুর শব্দটি ‘হাওরাউন’ শব্দের বহুবচন। হাওরাউন মানে- সুন্দরী নারী। |
এক. শয়তানের ধোকা প্রতারণা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে আরম্ভ করুন। মহান আল্লাহ বলেন: ‘যখন তুমি কুরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে নাও।’ (সূরা ১৬ আন নহল : আয়াত ৯৮) সূতরাং, কুরআন পাঠ করার শুরুতে বলুন: আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম। অর্থাৎ ‘আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই অভিশপ্ত শয়তান থেকে।’
দুই. দয়াময় সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর নামে আরম্ভ করুন। মহান আল্লাহ বলেন: ‘পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা ৯৬ আলাক : আয়াত ১) সুতরাং ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বলে কুরআন পড়া আরম্ভ করুন।
তিন. পূর্ণ মনোযোগী হয়ে কুরআন তিলাওয়াত করুন। মহান আল্লাহ বলেন: ‘যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন মনোযোগের সাথে শুনবে এবং নিরবতা অবলম্বন করবে, যাতে করে তোমরা রহমত লাভ করো।’ (সূরা ৭ আরাফ : আয়াত ২০৪)
চার. তারতিলের সাথে বুঝে বুঝে ভাব প্রকাশ করে পাঠ করুন। মহান আল্লাহ বলেন: ‘ধীরস্থিরভাবে বুঝে বুঝে ভাব প্রকাশের ভঙ্গিতে কুরআন পাঠ করো।’ (সূরা ৭৩ মুয্যাম্মিল : আয়াত ৪)
পাঁচ. কুরআনের মর্ম উপলব্ধি করে এবং চিন্তাভাবনা করে কুরআন পাঠ করুন।
ছয়. চিন্তাভাবনা করার এবং উপদেশ গ্রহণ করার সংকল্প নিয়ে পাঠ করুন। মহান আল্লাহ বলেন: ‘আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি এক কল্যাণময় কিতাব, যাতে করে মানুষ এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এবং বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন লোকেরা যেনো তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সূরা ৩৮ সোয়াদ : আয়াত ২৯)
সাত. অনুসরণ ও মেনে চলার সংকল্প নিয়ে পাঠ করুন। মহান আল্লাহ বলেন: ‘আমরা অবতীর্ণ করেছি এক কল্যাণময় কিতাব, সুতরাং তোমরা এর অনুসরণ করো।’ (সূরা ৬ আনআম: আয়াত ১৫৫)
আট. অল্প অল্প করে অধ্যয়ন করুন এবং শিক্ষাদান করুন। মহান আল্লাহ বলেন: ‘এ কুরআন আমরা অল্প অল্প করে নাযিল করেছি, যাতে করে তুমি তা মানুষকে পাঠ দিতে পারো বিরতি দিয়ে দিয়ে। এ উদ্দেশ্যে আমরা এটাকে পর্যায়ক্রমে নাযিল করেছি।’ (সূরা ১৭ ইসরা : আয়াত ১০৬)
নয়. পাঠকালে হৃদয় বিগলিত হওয়া এবং হৃদয়ে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হওয়া দরকার। কুরআন বলছে: ‘ঈমানদারদের কি এখনো হৃদয় বিগলিত হবার সময় হয়নি আল্লাহর স্মরণে এবং তিনি যে সত্য নাযিল করেছেন তার পাঠে?’ (সূরা ৫৭ আল হাদিদ: আয়াত ১৬)
দশ. কুরআন অধ্যয়ন ও অনুধাবনের মাধ্যমে ঈমান তাজা করুন। আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘আর যখন তাদের প্রতি তিলাওয়াত করা হয় আল্লাহর আয়াত, তখন তা বৃদ্ধি করে দেয় তাদের ঈমান।’ (সূরা ৮ আনফাল : আয়াত ২)
এগারো. দয়াময় প্রভুর দরবারে কালামে পাকের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যে দোয়া করুন: رَبِّ زِدْنِىْ عِلْمًا : ‘‘প্রভু! আমাকে জ্ঞানের উন্নতি দান করো।’’
volume_up
প্রমিত বাংলা ভাষায় এ পর্যন্ত পাওয়া পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদগুলোর মধ্যে এখনও এটিই সেরা।
volume_up
আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, মুহিউদ্দীন খান
আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, জহুরুল হক
...নির্মাণাধীন...
আল কুরআন: সমকালীন বাংলা অনুবাদ
অত্যন্ত মনোযোগী পাঠকমাত্রই বুঝতে পারেন যে বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআন অনুবাদে এখনো অনেক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন বাংলা বা বাংলা উচ্চারণে লেখা আরবী ইত্যাদি শব্দের ব্যাপক ব্যবহারের কারণে অনেক বাংলাভাষী পাঠকগণ অনুবাদগুলোর বাংলা অর্থই ভালোভাবে বুঝতে পারেন না।
তাই জ্ঞানী ব্যাক্তিবর্গের সক্রিয় সহযোগিতায় একটি সরল, প্রমিত, সূক্ষতর এবং উন্মুক্ত "সমকালীন বাংলা অনুবাদ" প্রকাশ এর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে অনুবাদ বা মন্তব্য পেশ করে আপনিও বিশেষ অবদান রাখতে পারেন। এর পুরস্কার সর্বমহান আল্লাহ আপনাকে দিবেন ইন শাহ আল্লাহ। সমকালীন প্রয়োজন বিবেচনায় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো এই অনুবাদে বিশেষভাবে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে :
১. সর্বমহান আল্লাহকে সম্বোধনের সময় "তুমি" এর পরিবর্তে সন্মানসূচক "আপনি" ব্যবহার করা।
২. অপেক্ষাকৃত নবীন পাঠকদের সুবিধার্থে সাম্ভব্য সরল ও অধিক প্রচলিত বাংলা বা প্রতিশব্দ ব্যবহার করা।
৩. বাহুল্য পরিহার করে সাম্ভব্য সকল ক্ষেত্রে অনুবাদগুলো মূল, প্রত্যক্ষ বা শাব্দিক অনুবাদ করতে হবে (ভাবানুবাদ নয়)।
৪. প্রয়োজনে টিকা বা নোট যুক্ত করা যেতে পারে; তবে মূল অনুবাদের মধ্যেই নয়।
অনেকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অনুবাদের সময় উপরের বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারলে, পবিত্র কুরআনের বাংলা ভাষাভাষী পাঠকগণ আরও অনেক বেশী উপকৃত হতে পারবেন ইন শাহ আল্লাহ।
সম্পাদনা পরিষদের কথা:
সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি তাঁর মহান গ্রন্থে ঘোষণা করেছেন,
‘‘এটি কিতাব যার আয়াতসমূহ সুস্থিত করা হয়েছে, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত সত্বার পক্ষ থেকে। [সূরা হূদ : ১]
‘‘অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে।’’ [সূরা আল-মায়েদা : ১৫]
সালাত ও সালাম প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি, যিনি বলেছেন,
‘সে-ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম যে আল-কুরআন শিখে ও শেখায়।’ [সহীহ আল-বুখারী]।
আরো সালাম বর্ষিত হোক তাঁর পরিবার ও সাহাবীবৃন্দ- সকলের প্রতি।
আল-কুরআনুল কারীম আল্লাহর একমাত্র সংরক্ষিত কিতাব যা বাতুলতার সকল স্পর্শ থেকে সদা-পবিত্র। আল-কুরআন তার ভাষার নৈপুণ্যে, শব্দের অলংকরণে ও উপমা-উৎপ্রেক্ষায় অলৌকিক; বক্তব্যে-অভিব্যক্তিতে অনন্য; অর্থের ব্যাপকতায় ও ভাবের প্রকাশভঙ্গিমায় অতুলনীয়। আল-কুরআন আল্লাহর কালাম ও পূর্ণাঙ্গতম রববানী পথ-পদ্ধতি যা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেয়।
এ অলৌকিকতা ও মাহাত্ম্যের কারণেই যখন কেউ এর অর্থ ও ভাব অন্য ভাষায় ভাষান্তর করতে চায় তখন অভিজ্ঞতায় সিক্ত হওয়া সত্ত্বেও এ গুরুভার-কর্ম তাকে নিশ্চিতরূপে ঘাবড়ে দেয়। তবে যেহেতু পবিত্র কুরআন নাযিল হওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হল এর সন্নিবিষ্ট বিষয়সমূহ জীবন-সংলগ্ন করে নেয়া, এর হিদায়াত অনুযায়ী পথ চলা, তাই ইহ-পরকালীন কল্যাণপ্রত্যাশী প্রতিটি মানুষের অবশ্য কর্তব্য আল-কুরআনের বক্তব্য অনুধাবন করা। এর আয়াতসমূহ গুরুত্বসহকারে বুঝা। যারা আরবী ভাষাভাষী, যেহেতু আল-কুরআন তাদের ভাষায়ই নাযিল হয়েছে, তাদের জন্য তাই এ কাজটি নিঃসন্দেহে সহজ। তবে যারা অনারব, অনুবাদের আশ্রয় ছাড়া আল-কুরআনের বক্তব্য বুঝা তাদের পক্ষে দুষ্কর। এ হিসেবে অন্যান্য ভাষায় আল-কুরআনের অনুবাদ একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তবে এ কাজটি যে মোটেও সহজসাধ্য নয় তা বলাই বাহুল্য। তবু এ গুরুভার কর্মটি সম্পাদনের জন্য এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা কুরআন-প্রেমিকদের অনেকেই। আমাদের বাংলা ভাষার বলয়েও বেশ কিছু অনুবাদ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে একক প্রচেষ্টায় উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন আমাদের প্রাজ্ঞ উলামা-মাশায়েখ ও গবেষকদের অনেকেই। তবে সাবলীলতা ও বিশুদ্ধতার বিচারে আরো উত্তম একটি অনুবাদ উপহার দেওয়ার ইচ্ছায় অনুপ্রাণিত হয়ে আল-বায়ান ফাউন্ডেশন নতুন করে উদ্যোগ গ্রহণ করে যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আল-বায়ান ফাউন্ডেশন এ মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুবাদ, সম্পাদনা, পরামর্শ, ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে বিশাল এক কর্মী বাহিনী নিয়োগ করে, যারা - আমাদের ধারণা অনুযায়ী- অত্যন্ত দক্ষতা ও ঐকান্তিকতার সাথে অনুবাদকর্মের সকল পর্যায় অতিক্রম করে একটি চমৎকার অনুবাদ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে।
এটা নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ অনুগ্রহ যে, তিনি আমাদেরকে একমাত্র তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করে এ মুবারক প্রকল্পে জড়িত হওয়ার তাওফীক দান করেছেন।
কাজের ধরন-প্রকৃতি বিষয়ে বলা যায় যে, শুরুতে বিজ্ঞ অনুবাদকমন্ডলী তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করে সাবলীল ভাষায় অনুবাদকর্ম সম্পন্ন করতে প্রয়াস পেয়েছেন। পরবর্তী পর্যায়ে সম্পাদকমন্ডলীর হাতের ছোঁয়ায় সেগুলোকে আরো সমৃদ্ধ এবং তাতে আরো উৎকর্ষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে সর্বশেষ সম্পাদনা ও নিরীক্ষা পরিষদ অনুবাদকর্মটি আদ্যোপান্ত পরীক্ষা করে দেখেছেন এবং সম্পাদকমন্ডলীর দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়া কোন অসংগতি কোথাও থেকে গেলে তা সংশোধন করতে প্রয়াস পেয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, অনুবাদকর্ম যাতে অভিন্ন ধারার অনুবর্তীতায় সম্পন্ন করা সম্ভব হয়, সে লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা ও সম্পদনা পরিষদ শুরুতেই কিছূ নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন, যা এই অনুবাদকর্মের শেষে সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে। এ অনুবাদকর্মের সাথে আল-কুরআনের যে মূল পাঠ ছাপা হয়েছে তার তিলাওয়াত সহজ করার জন্য- তার পঠন-পদ্ধতি সম্পর্কেও একটি নির্দেশিকা সংযুক্ত করা হয়েছে।
আমরা সর্বার্থে বুঝতে পারি যে, আল-কুরআনের অর্থানুবাদ যত দক্ষ হাতেই করা হোক না কেন, তা আল-কুরাআনের বক্তব্যের শতভাগ প্রতিনিধিত্ব করতে অক্ষম। অনুবাদের মাধ্যমে যেটুকু ভাব ও অর্থ প্রকাশিত হয় তা কেবলই আল কুরআনের অর্থ অনুধাবনে অনুবাদকের উপলব্ধির ফসলমাত্র। আর মানুষের জ্ঞান-উপলদ্ধি শতভাগ ত্রুটিমুক্ত হবে- এ ধারণা নিশ্চয় অবান্তর। সে হিসেবে আমাদের এই অনুবাদকর্ম শতভাগ ত্রুটিমুক্ত বলে দাবি করার দুঃসাহসিকতা আমাদের নেই। তাই সুহৃদ পাঠকমন্ডলীর কাছে আমাদের আবেদন এতে কোন ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে আমাদেরকে অবশ্যই জ্ঞাত করবেন। পরবর্তী সংস্করণে সেগুলো শুদ্ধ করার প্রয়াস অবশ্যই থাকবে ইনশাআল্লাহু তা’আলা।
পরিশেষে আল্লাহর কাছে আমাদের দোআ তিনি যেন এ মহান আমল কবুল করেন এবং একে আমাদের সকলের নাজাতের উসিলা বানান। আমীন
ভাষান্তর: আল-বায়ান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
উপদেষ্ট পরিষদে যারা আছেন :
০১. উস্তাদ মুহাম্মাদ সুলতান যওক নদভী
০২. মুফতী সাঈদ আহমাদ
০৩. মুফতী নূরুদ্দীন (রাহিমাহুল্লাহ)
০৪. সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন আব্দুল্লাহ জাফরী
০৫. ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)
০৬. মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ (রাহিমাহুল্লাহ)
০৭. মাওলানা মাসরুর আহমদ ফযল আহমদ
০৮. মাওলানা মুফতী শামসুদ্দীন জিয়া
০৯. বিচারপতি আব্দুর রউফ
১০. মুহাম্মদ মুফাজ্জাল হুসাইন খান
১১. প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান
অনুবাদ করেছেন:
১. প্রফেসর মুখতার আহমদ
২. নুমান আবুল বাশার
৩. আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
৪. চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ
৫. কাউসার বিন খালিদ
৬. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা
৭. আ. ন. ম. হেলাল উদ্দিন
৮. যুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হক
সম্পাদনা করেছেন :
১. ড. আব্দুল জলীল
২. মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান আল-মাদানী
৩. ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
৪. ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
৫. ড. শামসুল হক সিদ্দিক
৬. ড. হাসান মুঈন উদ্দিন
৭. মুহাম্মদ আব্দুল কাদের
৮. হাফেজ মুফতী সানাউল্লাহ নিজর আহম্মদ
volume_up